পদ্মার ঢেউ রে!! পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ।
পদ্মা নিয়ে কত গান হয়ছে কবিতা হয়েছে।এমনকি চলচিত্র হয়েছে।কবির কবিতায় গানে এই পদ্মাকে কত সুন্দর বলা হয়েছে।আসলেই কি অপূর্ব এই পদ্মা নদী।দুই পাশে কাশফুল আর মাঝে বয়ে চলায় পদ্মার বুকে ছোট ছোট নৌকা, দেখতে কতইনা ভালো লাগে।তবে বর্ষায় এ পদ্মার রাগান্বিত রূপ যারা দেখেছে তারাই জানে রাগলে পদ্মা কতটা ভয়ংকর হতে পারে।
(আমাদের এ হাসি জীবন ফীরে পাওয়ার হাসি)
আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার শেয়াড করছি।
আমার ভার্সিটির ফানাল পরীক্ষার পর কিছুদিন বন্ধ ছিলো,আর গ্রামে smart NID card দেয়া হবে এর জন্য বাসায় যাওয়াটা খুব দরকারী ছিলো।তারিখ ছিলো ছয় সেপ্টেম্বর ২০১৮। বাসায় কিছু কাজ করতে করতে রওয়ানা হতে দেড়ি হয়ে গেল। আমি মাওয়ার পাস দিয়ে পদ্মা পার হই।আমার গ্রামের বাসা গোপালগ, আর ওখানে যেতে হলে পদ্মা পার হতেই হবে। তবে মাওয়া পৌছাতে দেড়ি হলো,আর পৌছে এক নতুন পদ্মাকে দেখলাম।আগে থেকেই জানতাম পদ্মা ভালো নেই।প্রচুর ঢেউ ,ঢেউয়ের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে।ফেরি গুলো চলছে শুধু।আর ফেরিতে বাসের পরিবর্তে মানুষই বেশি যাওয়া আসা করছিলো।এমনি দেড়ি হয়েছে আবার ফেড়িতে গেলে আরো দেড়ি হবে।ঐ পাড়ে গিয়ে বাচ পাওয়া যাবে না।এটা ভেবে স্প্রিড বোর্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।বাসা থেকে বারন করেচিলো। কিন্তু কিছু করার ছিলো না ।মাওয়া দিক দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে,অনেকটা দেখা যাচ্ছে। আর এ পাস থেকে অনেকেই স্পিড বোডে যেতে বারন করছলো। অনেক রিকস্ নাকি।তাও শুনলাম না।মনে করলাম যা হবার হবে,ভয় পেলে চলবে না। দেখালম যারা কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এই মাওয়া ঘাটে এসেছে তারা পুরো ভিজে গিয়েছে।আমার ব্যগে ল্যাপটপ,মোবাইল,ঘড়ি আরো অনেক কিছু আছে ভিজে গেলে সব শেষ।তাই আমার সাথে একটা তাবু ছিলো ওটাকে আমার ব্যগে প্যচিয়ে নিলাম।আর ব্যগে সব মূল্যবান জিনিস রেখে দিলাম।সৃষ্টিকর্তাম নাম নিয়ে রওনা হলাম। প্রথমে ভালোই চলছিলো ।তবে বিপদের শুরু হলো মাঝ নদীতে গিয়ে।মাঝ নদীতে ভয়ংকর ঢেউ। আমাদের বোড ঢেউয়ের সাথে দুলছিল , অনেক বড় বড় ঢেউ ,কয়েক হাত উচুতে উছিলো আর নামছিলো আমাদের বোড।সবাই সৃষ্টিকর্তাকে ঢাকছিলো।ঢেউ গুলো আমাদের বোডে পরছিলো ,পানিতে ভরে যাচ্ছিলো।পদ্মার ঢেউয়ে সবাই ভিজে যাচ্ছিলো।এতো বাতাস আর ঢেউ ,আমাদের সবার মনে ভয় লাগছিলো।মাঝে মাঝে বেডের ইন্জিন থেমে যাচ্ছিলো।মনে হচ্ছিলো এখানেই শেষ।সব চেয়ে খারাপ কথা ভেবেই রওনা হয়েছিলোাম।মনে করছিলাম আমারা ডুবে যেতেও পাড়ি সাঁতার কেটে পাড়ে যাবো।আমি আমাট ব্যাগটা শক্ত করে ধরে রাখালম।তাবু দিয়প ঢাকা ছিলো তারও ভিজে যাচ্ছিলো ।আর আমারা সবাই লাইভ গার্ড পরেছিলাম।প্রায় ৫-৮ মিনিট ধরে এমন ভয়নক স্রোতের সাথে যুদ্ধ করছিলাম।দূরেপদ্মা সেতুর পিলার দেখা যাচ্ছিলো ।মনে হচ্ছিলো আর কি পারবো এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে।খুব মন দিৈ সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলাম।মা বাবার আর্শিবাদে আর সৃষ্টি কর্তায় কৃপায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌছায়।তবে এই সময় আমার জীবনে ঘটে যায় বাঁচা মরার মতো অভিঞ্জতা ।জীবনে কখনে এমন অনুভব হয়নি। ছোট একটা ছেলে বারবার আমাকে ধরে রাখছিলো।আমি পড়ে যাচ্ছিলোম।তবে ভালোই ভালো ভিজে ভিজে ঐ পাশে পৌছে গেলাম।
পদ্মার এই ভয়ংকর ঢেউয়ে পদ্মা পাড়ের অনেক জমি,ঘড় বাড়ি ভেঙ্গে শেষ করে দিচ্ছে। মাইলের পর মাইল এলাকা পদ্মায় ভেঙ্গে গেছে।প্রতিবছর এমন ভাঙ্গনের কবলে পরে মানুষ।কত পুরনো ভিটেবাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার কষ্টটা অনেক।কারো শেষ সম্ভবটুকু হারিয়ে পথে বসেছে।যাদের ভিটে জমি সব শেষ হয়েছ তারা রাস্তা বা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।কেউবা আগেভাগে সব সরিয়ে নিরপদে আশ্রয় নিয়েছে।আসলে তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সমস্যা হচ্ছে।একবার তাদের সব কিছু চিন্তা করলে বোঝা যাবে তারা কতটা বিপদে আছে।তবে কখনো সরকার বা কোথায়ও থেকে সঠিক সহায়তা বা সাহায্য তারা পায়নি। তবে যাই হোক আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে দারানো এবং তাদের সব সমস্যার সমধান হোক তারা ভালো থাকুক এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাক এটাই আমারা চাই।
আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার শেয়াড করছি।
আমার ভার্সিটির ফানাল পরীক্ষার পর কিছুদিন বন্ধ ছিলো,আর গ্রামে smart NID card দেয়া হবে এর জন্য বাসায় যাওয়াটা খুব দরকারী ছিলো।তারিখ ছিলো ছয় সেপ্টেম্বর ২০১৮। বাসায় কিছু কাজ করতে করতে রওয়ানা হতে দেড়ি হয়ে গেল। আমি মাওয়ার পাস দিয়ে পদ্মা পার হই।আমার গ্রামের বাসা গোপালগ, আর ওখানে যেতে হলে পদ্মা পার হতেই হবে। তবে মাওয়া পৌছাতে দেড়ি হলো,আর পৌছে এক নতুন পদ্মাকে দেখলাম।আগে থেকেই জানতাম পদ্মা ভালো নেই।প্রচুর ঢেউ ,ঢেউয়ের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে।ফেরি গুলো চলছে শুধু।আর ফেরিতে বাসের পরিবর্তে মানুষই বেশি যাওয়া আসা করছিলো।এমনি দেড়ি হয়েছে আবার ফেড়িতে গেলে আরো দেড়ি হবে।ঐ পাড়ে গিয়ে বাচ পাওয়া যাবে না।এটা ভেবে স্প্রিড বোর্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।বাসা থেকে বারন করেচিলো। কিন্তু কিছু করার ছিলো না ।মাওয়া দিক দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে,অনেকটা দেখা যাচ্ছে। আর এ পাস থেকে অনেকেই স্পিড বোডে যেতে বারন করছলো। অনেক রিকস্ নাকি।তাও শুনলাম না।মনে করলাম যা হবার হবে,ভয় পেলে চলবে না। দেখালম যারা কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এই মাওয়া ঘাটে এসেছে তারা পুরো ভিজে গিয়েছে।আমার ব্যগে ল্যাপটপ,মোবাইল,ঘড়ি আরো অনেক কিছু আছে ভিজে গেলে সব শেষ।তাই আমার সাথে একটা তাবু ছিলো ওটাকে আমার ব্যগে প্যচিয়ে নিলাম।আর ব্যগে সব মূল্যবান জিনিস রেখে দিলাম।সৃষ্টিকর্তাম নাম নিয়ে রওনা হলাম। প্রথমে ভালোই চলছিলো ।তবে বিপদের শুরু হলো মাঝ নদীতে গিয়ে।মাঝ নদীতে ভয়ংকর ঢেউ। আমাদের বোড ঢেউয়ের সাথে দুলছিল , অনেক বড় বড় ঢেউ ,কয়েক হাত উচুতে উছিলো আর নামছিলো আমাদের বোড।সবাই সৃষ্টিকর্তাকে ঢাকছিলো।ঢেউ গুলো আমাদের বোডে পরছিলো ,পানিতে ভরে যাচ্ছিলো।পদ্মার ঢেউয়ে সবাই ভিজে যাচ্ছিলো।এতো বাতাস আর ঢেউ ,আমাদের সবার মনে ভয় লাগছিলো।মাঝে মাঝে বেডের ইন্জিন থেমে যাচ্ছিলো।মনে হচ্ছিলো এখানেই শেষ।সব চেয়ে খারাপ কথা ভেবেই রওনা হয়েছিলোাম।মনে করছিলাম আমারা ডুবে যেতেও পাড়ি সাঁতার কেটে পাড়ে যাবো।আমি আমাট ব্যাগটা শক্ত করে ধরে রাখালম।তাবু দিয়প ঢাকা ছিলো তারও ভিজে যাচ্ছিলো ।আর আমারা সবাই লাইভ গার্ড পরেছিলাম।প্রায় ৫-৮ মিনিট ধরে এমন ভয়নক স্রোতের সাথে যুদ্ধ করছিলাম।দূরেপদ্মা সেতুর পিলার দেখা যাচ্ছিলো ।মনে হচ্ছিলো আর কি পারবো এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে।খুব মন দিৈ সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলাম।মা বাবার আর্শিবাদে আর সৃষ্টি কর্তায় কৃপায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌছায়।তবে এই সময় আমার জীবনে ঘটে যায় বাঁচা মরার মতো অভিঞ্জতা ।জীবনে কখনে এমন অনুভব হয়নি। ছোট একটা ছেলে বারবার আমাকে ধরে রাখছিলো।আমি পড়ে যাচ্ছিলোম।তবে ভালোই ভালো ভিজে ভিজে ঐ পাশে পৌছে গেলাম।
পদ্মার এই ভয়ংকর ঢেউয়ে পদ্মা পাড়ের অনেক জমি,ঘড় বাড়ি ভেঙ্গে শেষ করে দিচ্ছে। মাইলের পর মাইল এলাকা পদ্মায় ভেঙ্গে গেছে।প্রতিবছর এমন ভাঙ্গনের কবলে পরে মানুষ।কত পুরনো ভিটেবাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার কষ্টটা অনেক।কারো শেষ সম্ভবটুকু হারিয়ে পথে বসেছে।যাদের ভিটে জমি সব শেষ হয়েছ তারা রাস্তা বা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।কেউবা আগেভাগে সব সরিয়ে নিরপদে আশ্রয় নিয়েছে।আসলে তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সমস্যা হচ্ছে।একবার তাদের সব কিছু চিন্তা করলে বোঝা যাবে তারা কতটা বিপদে আছে।তবে কখনো সরকার বা কোথায়ও থেকে সঠিক সহায়তা বা সাহায্য তারা পায়নি। তবে যাই হোক আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে দারানো এবং তাদের সব সমস্যার সমধান হোক তারা ভালো থাকুক এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাক এটাই আমারা চাই।
No comments